You are currently viewing হাতে ভোটের দাগ, গালে ঠোঁটের দাগ

হাতে ভোটের দাগ, গালে ঠোঁটের দাগ

Share this post

বঙ্গীয় আঁতেল হওয়ার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল, যা কিছু জনপ্রিয় তার গালে সপাট থাপ্পড় কষিয়ে ‘‌কিস্যু হয়নি’‌ হুঙ্কার ছাড়া। সৃজিৎ মুখার্জির ফিল্ম সকলে দেখে?‌ অতএব উহা যাচ্ছেতাই। ইস্টবেঙ্গলের টিম সিলেকশন নিয়ে সকলে এবার মাতামাতি করছে?‌ খবরদার!‌ স্রোতে ভাসবেন না। বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়ুন এবং বলুন, ‘‌আমার কিন্তু অমুক জায়গাটা নিয়ে ডাউট আছে।’‌ বিয়েবাড়ি, মুখেভাত, বাষ্পমোচন, উল্কাপাত— যে কোনও অকেশনে গম্ভীর মুখে সকলের উল্টো স্রোতে যদি হাঁটতে না পারেন, তাহলে লোকে আপনাকে আলাদাভাবে চিনবে কী করে?‌
এই ফর্মুলা ধরেই প্রতি বছরের মতো এবারও বঙ্গ জনতার ‘‌গ্রিভেন্স বক্স’‌ (‌অর্থাৎ কোহলি সেঞ্চুরি ফস্কালে যেখানে তাঁর ব্যর্থতার জন্য আপনি অনুষ্কা শর্মাকে গালাগাল দেন কিংবা নিজে টিকিট না কেটে ট্রেনে উঠেও ‘‌কেন এত ভিড় রে বাবা’‌ বলে হা–হুতাশ করেন)‌ সেই ফেসবুকেও ভ্যালেন্টাইন্স ডে–র বিরোধিতায় গিজগিজ করছে কতই না স্টেটাস। ন্যাকামি সপ্তাহ বলছেন তো অনেকেই। চিড়িয়ামোড় টু বাল্টিমোর হোক কিংবা সাইবেরিয়া টু বাঁশবেড়িয়া— এই বিরোধিতার হাওয়া যখন সাঁইসাঁই করে উড়েই চলেছে, তখন কোথাও বোধ হয় একটু পাল্টা প্রতিবাদের হাওয়া তোলাটাও জরুরি। হে ভারত ভুলিও না— ওয়াল তোমার, প্রেমিকা তোমার, ডেটাকার্ড তোমার, ছবি তুলে থাকলে ক্যামেরাও তোমার। তাহলে মতামত কেন অন্যের হবে হে?
একদল আছেন, সকাল থেকে উঠেই ফ্রেন্ডলিস্টের যাবতীয় কুটুমকে শ্যালক সম্বোধনে গালিগালাজ না করলে যাঁদের কোষ্ঠ সাফ হয় না। নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকা নেই। সেই ঝাল অন্যের ওপর ঝাড়া কেন বাপু?‌ কৈশোরে এক কড়া গৃহশিক্ষকের হাতে পড়েছিলাম। যাঁর ফতোয়া ছিল, আমার কাছে পড়তে এলে বাংলা সাইকেল নিয়ে আসতে হবে। নতুবা পায়ে হেঁটে। এদিকে বাবা তখন সদ্য কিনে দিয়েছে হিরো রেঞ্জার স্যুইং। তার হ্যান্ডেল ধরা মানে পক্ষীরাজের লাগামে আঙুল রাখা। সেই সাইকেল ছেড়ে কি না পায়ে হেঁটে টিউশনে?‌ পরবর্তী কালে স্যার নিজেই কবুল করেছিলেন, নিজে থাকতেন কৃষ্ণনগরের গ্রামে। স্কুলে যেতেন বাবার বাংলা সাইকেলে করে। ছাত্রদের গিয়ার–সকার শোভিত রেঞ্জার স্যুইং তাঁর সহ্য হবে কেন?‌ আদ্যিকালের পিসি–মাসিদের ‌যেমন হত, আমরা বিধবা। মাছ খাই না, নির্জলা একাদশী করে এসেছি, তা বলে বাড়ির কৈশোরে পা রাখা বিধবাটিই বা সেই র‌্যাগিং থেকে পার পাবে কেন?‌
আর একটা সত্যি এটাও যে, অধিকার বোধের সীমাটাও বোধ হয় আমরা কোথাও না কোথাও গিয়ে হারিয়ে ফেলছি। প্রতিবেশীর বাড়ির পর্দার রং আপনার পছন্দ না–ই হতে পারে। তাই বলে পর্দা পাল্টাতেই হবে বলে আপনি তাঁকে চোখ রাঙাতে পারেন না। ঠিক তেমনই আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা তরুণীটি তার প্রেমিকের কণ্ঠলগ্না হয়ে (‌একটু সাহসী হলে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে)‌ ছবি আপলোড করতেই পারেন। কিন্তু আপনার অধিকারের সীমাটা বুঝুন। অপছন্দ হলে, না হয় লাইক করবেন না। তবে কেন তোমার প্রোফাইলে এমন ছবি?‌ তোমার কি শিক্ষাদীক্ষা নেই?‌ এ ধরনের প্রশ্ন তুলে নিজের খানিক ডেটা এবং তাঁর খানিক সময় না হয় না–ই নষ্ট করলেন।
আর একদল আছেন। তাঁরা প্রতিবারের মতো এবারও প্রশ্ন তুলবেন। প্রেমের আবার আলাদা দিন হয় নাকি?‌ রোজই প্রেমদিবস। আচ্ছা, আপনারা নিজেদের জন্মদিনটা সেলিব্রেট করেন না?‌ সেই দিনটা স্পেশ্যাল হয় না। আপনার মা তো আপনাকে রোজই ভালবাসেন। তাহলে আলাদা করেন সেই দিনটায় সকাল সকাল কেন পায়েসের বাটিটা তুলে দেন আপনার মুখের সামনে!‌ কেন বাবা এগিয়ে এসে হাসিহাসি মুখে প্রশ্ন করেন, ‘‌আজ বিরিয়ানি আনাই?‌’‌ ভালবাসার মতোই আর যা শাশ্বত, আর যা যা চিরন্তন, সব কিছুকেই একবার করে ঝালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন আছে। সেই প্রয়োজনটা আছে বলেই আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস, নারী দিবসের মতো দিনগুলো উদযাপন করি। তাহলে প্রেমের জন্য একটা আলাদা দিন বরাদ্দ হলে অসুবিধা কোথায়?‌ খোদ রবীন্দ্রনাথ ‘‌নতুন করে পাবো বলে’‌র থরোথরো উত্তেজনার কথা বলে গেছেন। তাহলে নিজের প্রেমিকাটিকেই বা নতুন করে ভালবাসবেন না কেন?‌ কেনই বা তাকে দেওয়া কার্ডটিতে লিখে দেবেন না, ‘‌প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও আপনার মানভঞ্জনকেই আমার প্রায়োরিটি হিসাবে গণ্য করিলাম।’‌ মন্দির ভাঙার মসজিদ ভাঙার, ব্লগার খুনের বর্ষপূর্তি, টুইন টাওয়ার উড়িয়ে দেওয়ার বার্ষিকীপালন হতে পারছে, আর নতুন করে একটু ভালবাসার কথা মনে করিয়ে দিলেই এত সমস্যা?‌ বিশেষত এই সময়, যখন সারা দেশ, সারা বিশ্বে ঘেন্নার রমরমা। জাতের ঘেন্না, ধর্মের ঘেন্না, দলিতকে ঘেন্না, ভিন্নজাতকে ঘেন্না— তখন এই ভালবাসার দিনটাই ঘেন্নার বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদের দিন হয়ে উঠুক না। উচ্চবর্ণের ব্রাক্ষ্মণ সন্তান চর্মকারের মেয়ের ঠোঁটে ঠোঁট রাখুক না। দেখবেন দুনিয়া বর্তে যাবে। যেমন বর্তে গেছেন ম্যাসিডোনিয়ার নুরা আরকাভাজি। ইরাকের দিয়ালা থেকে তার পরিবারের সঙ্গে ইউরোপের উদ্দেশে পালিয়ে যান ২০১৬ সালের মার্চে। ম্যাসিডোনিয়ার কর্দমাক্ত সীমান্তে পৌঁছানোর পর নুরা তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হন। এবং তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়। সীমান্তরক্ষীরা তাকে ইংরেজি জানা কর্মকর্তা ববি ডোডেভস্কির হাতে তুলে দেন। নুরাকে প্রথম দেখাতেই ববি তার প্রেমে পড়েন। কিন্তু একে তো শরণার্থী। পরিচয়পত্র কিংবা বৈধ নাগরিকত্ব বলে কিছু নেই। তার ওপরে নুরা কুর্দি মুসলিম। আর ববি অর্থোডক্স ক্রিশ্চান। ম্যাসিডোনিয়ার ওই অঞ্চলে এই দুই সম্প্রদায়ের একে অপরের প্রতি যে কী দারুণ বিদ্বেষ সেটা বলে বোঝানো যাবে না। তবে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে.‌.‌.‌ ইত্যাদি। প্রেম হল। বিয়েও হল। শরণার্থী শিবিরের মধ্যে নুরার মুখে কেক তুলে দিয়ে ববি চুমু খেলেন। চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘‌আমাকে আমাকে বিয়ে করবে?‌’‌ প্রবল হুল্লোড় আর হাততালি শব্দ ছাপিয়ে নুরা বলেছিলেন, ‘‌করব।’‌ এখন তাঁদের তিন তিনটে বাচ্চা।
লেখাটা লিখতে লিখতেই কথাটা মনে পড়ল। পাকিস্তানে আদালত ঘোষণা করে দিয়েছে সেদেশে ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করা যাবে না। বাংলাদেশেও একই জিগির উঠেছে। আর ভারত?‌ সেখানে তো প্রায়শই মরাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মরাল পুলিসরা প্রেমিক–প্রেমিকদের পার্ক বা রেস্তোরাঁ থেকে ধরে এনে চড়চাপড় লাগান। ভাবখানা এমন, ‌আহা ওই যুগলদের সকলেই অনাথ বোধ হয়, তাই অল্প বয়সে বখে গিয়েছে। যাই কানটা কড়কে দিই। এ ব্যাপারে ভারতবর্ষের কট্টর ইসলামপন্থীদের খুব একটা সক্রিয়তা আছে বলে জানা নেই। তবে ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রেম করার অপরাধে প্রকাশ্যে চাবুক কিংবা বেত্রাঘাতের শাস্তি তো সংবিধানেই আছে। ভারতের আইন বলে, প্রকাশ্যে কোনও অশ্লীল কাজ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বেশ ধরে নেওয়া যাক চুমু খাওয়া অশ্লীলতা। রাস্তার ধারে যেখানে সেখানে জিন্সের চেনটি খুলে যে আপনি হাল্কা হন, সেটা অশ্লীল নয়?‌ রেলস্টেশনের যত্রতত্র পুচুৎ যে গুটখার থুতুটি ফেলেন, সেটা অশ্লীল নয়?‌ দমদম মেট্রো স্টেশনে অফিস টাইমের ভিড়ের সময় চেকিং মেশিনের সামনে ভুঁড়ি এলিয়ে বসে থাকেন যে পুলিসকর্মীরা, যাত্রীদের ব্যাগ চেক না করেই তাদের ঢুকতে দেন মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে, সেটা অশ্লীল নয়?‌ সেটা দেখতে দেখতে আপনার কখনও মনে হয়নি, আচ্ছা এই যে ব্যাগ চেক না করেই যে ঢুকতে দিচ্ছে যাত্রীদের, তাদের মধ্যে যদি কেউ জঙ্গি হয়?‌ মেট্রোয় বিস্ফোরণ হলে, সেই দায় এই ভুঁড়িদাস পুলিসকর্মীরা নেবেন?‌ কে কী বলবেন জানি না, আমার কাছে এই রাস্তায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া কিংবা ভুঁড়ি এলিয়ে পুলিসকর্মীদের বসে থাকার দৃশ্যটা ঢের বেশি অশ্লীল। বিপজ্জনকও বটে। চুমু খেতে গিয়ে কেউ মরেছে কিনা জানি না। তবে উপযুক্ত চেকিংয়ের অভাবে অজস্র জঙ্গিহামলা হয়েছে আমাদের দেশে।
তবু দেখবেন, এ বছরও প্রেমিক–প্রেমিকাদের হেনস্থার ঘটনা ঘটবে। প্রেমিকের কাঁধে ঘাড় এলিয়ে পার্কের বেঞ্চে বসে থাকবে যে যুবতী, তার চুলের মুঠি ধরে হিড়হিড় করে টেনে আনবে মরাল গার্জেনদের দল। ‘‌পোড়ারমুখী দু’‌চোখের বিষ। ফের তুই প্রেমে পড়েছিস’‌— ধরনের আগ্রাসন নিয়ে। কখনও এই লোকগুলো দেখেছেন, কেন রাস্তায় লোকে প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগ করছে কিংবা কেন ভুল বানান হোর্ডিং লেখা হয়েছে— নিদেনপক্ষে রাত একটা নাগাদ বিরাটি ফ্লাইওভারের ওপরে লরিগুলো থেকে হাত বাড়িয়ে ঘু্্ষ নিচ্ছে— এগুলো নিয়ে রাস্তায় নামছে। অল্পবয়সী হাতে হাত রাখা ছেলেমেয়েগুলোকে হেনস্থা করা তো খুব সহজ। একটা থাপ্পড় মারলে পাল্টা মারতে পারবে না। যদি বাড়িতে জেনে যায়, যদি থানায় আটকে রাখে— এই ভয়গুলো তো আছেই। আচ্ছা, কখনও দেখেছেন এই মরাল পুলিসদের ওই ফ্লাইওভারের ওপরে হামলা করতে? কেন পুলিস ঘুষ নিচ্ছে, প্রশ্ন করতে?‌ তাদের ঘেরাও করতে? কানধরে ওঠবোস করাতে?‌ কিংবা সেই উদ্ধত যুবককে ঘিরে ধরতে যে এই মাত্র কারও বাড়ির দেওয়াল ভিজিয়ে জিনসের জিপারটি বন্ধ করল।
দেখবেন না।
তার চেয়ে আসুন, একটা দিন বরাদ্দ করা হোক সকলের জন্য। সব্বাইকে টেনে বসান একটা আলো ঝকঝকে ক্লাসরুমে। ব্ল্যাকবোর্ডে বড় বড় করে লিখুন ‘‌প্রেম ‌করিবার শতেক’‌ উপায়। প্রথম চ্যাপ্টারে পার্টনারকে প্যাম্পার করার প্যারাগ্রাফটা ছুঁয়ে ঢুকে পড়ুন চুমুর চ্যাপ্টারে। ‘ওই বাড়ির ‌মেয়েটা উচ্ছন্নে গেছে’‌ বলে গজগজ করেন যে পাড়ার কাকিমা, তাঁকে বসান ফার্স্ট বেঞ্চে। ‘‌ভাটের ভ্যালেন্টাইস ডে ড্যাশ ড্যাশ ড্যাশ (‌অর্থাৎ ছাপার অযোগ্য)‌’ গালাগাল উগরে দেন যাঁরা প্রতি স্টেটাসে,‌ তাদের বসান ওই কাকিমার পাশেই। আর প্রেমদিবসে ধরা পড়লে চাবকে পিঠের চামড়া তুলে নেন যাঁরা, তাঁদের রাখুন সেকেন্ড বেঞ্চে। তারপরে প্রেমিকার কোমর ধরে কাছে টেনে এনে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিন। শেখান কী করে ভাল বাসতে হয়। কী করে সারাদিনের যাবতীয় চাপ ভ্যানিশ হয়ে যায় প্রেমিকার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলে। নিমিতক চুম্বন, স্ফূরিতক চুম্বন, তর্যক চুম্বন, অবপীড়িতক চুম্বন, সম্পূটক চুম্বন— এত্তরকমের ভ্যারাইটিতে দিশেহারা করে দিন সব প্রেমবিরোধীদের। থিওরির পরে প্র্যাক্টিকাল। প্রতিবেশীর চোখের দিকে তাকিয়েছিল বলে তালিবানরা চাবুকে রক্তাক্ত করেছিল যে আফগান যুবককে, মোল্লা মকসুদদের হাতে ধরে সে শেখাবে প্রেমপত্রে মির্জা গালিব ব্যবহারের উপকারিতা। প্রেমিকের বাইক থেকে কলেজ ফেরত পাড়ার মোড়ে নামেন বলে ব্যাঁকা চোখে তাকান যে কাকিমা, তাকে বাইকওয়ালার প্রেমিকা কানে কানে ফিসফিসে বলবে ফাঁকা হাইওয়েতে প্রেমিকের চওড়া পিঠে মাথা রাখার রোমহর্ষের কথা। আর পার্কের ধার থেকে যে যুগলকে হেনস্থা করেছে মরাল পুলিসের দল, তাদের নিজেদের বৌ বা প্রেমিকার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে গাইতে হবে, ‘‌ভালবেসে সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো.‌.‌.‌’‌ প্রেমিকাও খুশি। ভিকটিমরাও খুশি।
আর হ্যাঁ, এদেশে ভোট দেওয়ার মতো প্রেমের দিনে প্রকাশ্য রাজপথে দাঁড়িয়ে চুমুর খাওয়াটাও কম্পালসারি হোক। দেশ গড়তে আঙুলে ভোটের দাগ লাগাটা জরুরি। ভাল থাকতে ততটাই জরুরি গালে ঠোঁটের লিপস্টিক–শোভিত দাগ লেগে থাকা। নিন্দুকদের উপেক্ষা করুন। ফাটিয়ে এনজয় করুন ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
কারণ কবি আগেই সন্দেহপ্রকাশ করেছেন, ‘প্রেম ছাড়া কি দিন বদলের গান শোনানো যায়?‌’‌‌ ‌


Share this post

Leave a Reply