‘ক্ষমা চাইব না, খাটের নীচে লুকোবও না…’, জানিয়ে দিলেন কুণাল কামরা

Share this post

ভিডিও আপলোড করার পর থেকেই বিতর্ক, হুমকি, ভাঙচুর। কিন্তু নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন না তিনি। পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। কুণাল জানিয়েছেন, যা বলেছেন, তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। তিনি উন্মত্ত ভিড়কে ভয় পান না। ভয় পেয়ে খাটের নীচে লুকিয়েও থাকবেন না তিনি। বিতর্ক থিতিয়ে যাওয়া পর্যন্ত গা ঢাকা দেওয়ার কোনও অভিসন্ধিও নেই তাঁর। (Kunal Kamra)

সম্প্রতি নিজের একটি শোয়ের ভিডিও ইউটিউবে শেয়ার করেন কুণাল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। কিন্তু সেই ভিডিও মনঃপুত হয়নি অনেকেরই। কুণালের কিছু মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরের সরকার ফেলে দিয়ে যেভাবে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি, উদ্ধবের বাবা বালাসাহেব ঠাকরের দলের উপর নিজের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন, কুণাল সেই নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বলেই দাবি করে একনাথের শিবসেনা। অনুষ্ঠান চলাকালীন কুণাল যদিও একনাথের নাম উল্লেখ করেননি। (Kunal Kamra Joke)

সেই নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর চালানো থেকে হুমকি, এফআইআর, কিছুই বাদ যায়নি। সেই নিয়ে সোমবার দিনভর উত্তপ্ত থেকেছে পরিস্থিতি। কুণালকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। কিন্তু রাতে বিবৃতি দিয়ে কুণাল জানিয়ে দিলেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না। কুণাল বলেন, ‘যাঁরা এই সার্কাস নিয়ে খবর করছেন, সেই সব সংবাদমাধ্যমকে বলব, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় ভারচের স্থান ১৫০। আমি ক্ষমা চাইব না। আমি যা বলেছি, অজিত পওয়ার (প্রথম উপমুখ্যমন্ত্রী) একনাথ শিন্ডে (দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী) সম্পর্কে একই কথা বলেছেন। আমি এই ভিড়কে ভয় পাই না এবং খাটের নীচে লুকিয়েও থাকব না, উত্তেজনা থিতিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করব না’।

কুণাল আরও বলেন, ‘বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা শুধুমাত্র ক্ষমতাশালী, বিত্তশালীদের প্রশংসার্থেই ব্য়বহার্য নয়। আপনার যদি প্রভাবশালী কাউকে নিয়ে ঠাট্টা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকে, তার জন্য আমার অধিকার বদলাবে না। আমি যতদূর জানি, নেতাদের নিয়ে ঠাট্টা করা, রাজনৈতিক ব্যবস্থার নামে দেশে যে সার্কাস চলছে, তা নিয়ে ঠাট্টা করা আইন বিরুদ্ধ নয়।’

অনুষ্ঠানস্থলে যেভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তারও তীব্র নিন্দা করেন কুণাল। তাঁর মন্তব্যের দায় অন্যের ঘাড়ে কেন চাপানো হবে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কুণাল জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের সঙ্গে পূর্ণ সহযগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু তিনি ঠাট্টা করলে যদি মামলা হয়, আইনি পদক্ষেপ করা হয়, সেক্ষেত্রে যারা ভাঙচুর চালাল, যারা হিংসা চালাল, বম্বে পুরসভা যেভাবে সেই ভাঙচুরে অংশ নিল, তা নিয়েও আইনি পদক্ষেপ করা হবে কি না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


Share this post

Leave a Reply