You are currently viewing খোদ নির্যাতিতা বললেন, ‘‌ধর্ষণ হয়নি’‌, তবু জেল খেটেছিলেন সাইনি আহুজা!‌

খোদ নির্যাতিতা বললেন, ‘‌ধর্ষণ হয়নি’‌, তবু জেল খেটেছিলেন সাইনি আহুজা!‌

Share this post

মন্দারমণিতে গিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছি, এমন সময় অনুজপ্রতিম বন্ধুর ফোন— ‘‌আরে তোমরাও মন্দারমণিতে এসেছো?‌ সন্ধেবেলা আমাদের হোটেলে চলে এসো। একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া যাবে।’
চার কিলোমিটার রাস্তা উজিয়ে যখন তাদের হোটেলে পৌঁছনো গেল, তখন বেশ রাত। টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে সমুদ্রের গা লাগোয়া হোটেলের সুইমিং পুলের পাশে বসে ঈষৎ মদমত্ত অবস্থায় বন্ধুটি আক্ষেপ করছিল, তাদেরই সঙ্গে আসা আর একটি ছেলেকে নিয়ে। যার নাম অবশ্যই উল্লেখ করব না।
—‘‌জানো তো, ‌ও ৪৫দিন হাজতবাস করে এই সবে বেরলো।’‌
ছেলেটিকে আগেই চিনতাম দু’‌–একবার আমার অনুজপ্রতিম বন্ধুটির ফ্ল্যাটে যাওয়ার সুবাদে। নির্বিরোধী ছেলে, গানবাজনা নিয়েই থাকে। সেই ছেলের হাজতবাস?‌ চমকে উঠলাম। অনতিদূরে ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে। সাঁসাঁ হাওয়া আর সমুদ্রের গর্জনে আমাদের কথা তার কানে যাওয়ার উপায় নেই, তবু গলা খাটো করে আমার বন্ধু যা বলে চলল, তার সারমর্ম হচ্ছে, দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রটিয়ে বেরিয়েছে ছেলেটি নাকি বিছানায় তেমন দড় নয়। আবার সে–ই দুম করে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। ৪৫দিন জেল খেটে পরে জামিনে বেরিয়েছে ছেলেটি।
শোনা ইস্তক মনে হচ্ছিল, যাকে ভালবাসলাম, তারই বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা আনা যায়?‌ আরও কার ক্ষেত্রে যেন একই ধরনের অভিযোগ শুনেছি। ওদের হোটেল থেকে বেরিয়ে ঠিক নিজের হোটেলে ঢোকার সময় মনে পড়ে গেল নামটা— সাইনি আহুজা।
গোলাপি ফর্সা মুখে হাল্কা বাদামী চোখ। টিকোলো নাক। ছবির মতো সুন্দর হাসি। মুখে খোঁচাখোঁচা দাড়ি (‌আজকাল যাকে স্টাবল বলা হয়)‌। একনজরে দেখে মনে হবে ভারতীয় তো নন, যেন মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশের দেশের রাজপুত্র। মহিলা ভক্তের সংখ্যা ঈর্ষণীয় রকমের। ঝুলিতে গ্যাংস্টার, লাইফ ইন আ মেট্রো, ভুলভুলাইয়ার মতো বেশ কয়েকটা সুপারহিট ছবির তাঁর ঝুলিতে। সেই সাইনি আহুজার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আসমুদ্রহিমাচল একেবারে কেঁপে উঠেছিল।
ফিল্মস্টার বলে কি ধর্ষক হতে পারেন না?‌ অবশ্যই পারেন। বলিউডের একাধিক অভিনেতা কিংবা পরিচালকের বিরুদ্ধে এর আগে ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। তাইলে সাইনির কেস নিয়ে এত হইচই কেন?‌ কারণ দুটো। প্রথমত, এর আগে মধুর ভাণ্ডারকর (‌অভিযোগ করেছিলেন প্রীতি জৈন)‌ কিংবা অনু মালিক (‌অভিযোগকারিণী আলিশা চিনয়)‌ বাদে আর কোনও এত বিখ্যাত বলিউডি ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেনি (‌পরে এই তালিকায় নানা পাটেকরের নাম যোগ হবে। অভিযোগ আনবেন তনুশ্রী দত্ত)‌। দ্বিতীয়ত, অনু মালিক কিংবা মধুর ভাণ্ডারকর— কাউকেই হাজতবাস করতে হয়নি। সাইনিকে করতে হয়েছে। যদিও সেই বিচার এবং সাজা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
কেন হঠাৎ করে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে গেছিলেন সাইনির পরিচারিকা?‌ ২ আগস্ট, ২০১০ সালে হিন্দুস্তান টাইমের প্রতিবেদন বলছে, আদালতে ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী ওই পরিচারিকা কবুল করেছেন, সাইনি তাঁকে কোনওদিন ধর্ষণই করেননি!‌ ওই মহিলা আসলে সাইনির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। কয়েকবার সাইনিকে তিনি মনের কথা খুলে বলার চেষ্টাও করেছিলেন। এরপর তিনি এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলেন সেই মহিলার সঙ্গে, যিনি সাইনির বাড়িতে ওই পরিচারিকাকে কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন। পরিচারিকার দাবি, ওই কাজ পাইয়ে দেওয়া মহিলার পরামর্শেই সাইনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তিনি।
কী বলেছিলেন অভিযোগে?‌ ১৪ জুন, ২০০৯ সালে পুলিসকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী ওই পরিচারিকা দাবি করেছিলেন যে সাইনি তাঁকে বাড়িতে অশালীনভাবে স্পর্শ করেন এবং পরে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দু’‌ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সাইনি আহুজা জেল খাটলেন। এদিকে ওই পরিচারিকার কী হল?‌ ১ এপ্রিল, ২০১১ সালে এনডিটিভি–তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি এখন বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন।
প্রভাবশালী কিংবা বিখ্যাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী কিংবা অভিযোগকারীর বয়ান বদলে ইউটার্ন নেওয়ার ঘটনা নিতান্ত কম নয়। ভয় দেখিয়ে অথবা চাপ দিয়ে বয়ান হামেশাই বদলে নেওয়া হয় বলে শোনা যায়। ধরে নিচ্ছি এক্ষেত্রেও সাইনি বা তাঁর পরিবারের লোকজন ওই পরিচারিকাকে ভয় দেখিয়েছিলেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে খামোখা সাইনি আহুজার প্রেমে পড়েছিলাম জাতীয় স্বীকারোক্তি কি আদৌ দরকার ছিল?‌ নাকি কার মন্ত্রণায় তিনি ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন, সেটা বলতে গিয়ে আরও একজনের নাম টানার দরকার ছিল?‌ তারচেয়েও বড় প্রশ্ন হল, যদি সাইনির পরিবার ভয়ই দেখাতেন কিংবা চাপ দিতেন ‘‌নির্যাতিতার’‌ ওপরে, তাহলে সেটা এত পরে কেন? অভিযোগ আনা হয়েছে ২০০৯ সালে। বয়ান বদল হল ২০১১ সালে।‌ করার হলে তো সাইনির পরিবারের সদস্যরা আগেই এটা করতে পারতেন।
যে কোনও খ্যাতনামা ব্যক্তির যদি কোনও সমস্যায় জড়ান, তখন লিগাল ট্রায়ালের পাশাপাশি চলে মিডিয়া ট্রায়াল। সাইনির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছিল। মাইক্রোম্যাক্সের একটা বিজ্ঞাপনে রীতিমতো তাঁর নাম করে বিদ্রুপ করা হয়। বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছিল, একটি যুবতী বলছেন, ‘‌শাইনি আমাকে একটা ফোন কিনে দিয়েছে।’‌ উত্তর আর একজন যুবতী বলেন, ‘‌সাইনি আমাকেও একদম একরকম একটা ফোন কিনে দিয়েছে।’‌ এঁদের কথোপকথনের মধ্যেই যে ঘরে এই কথোপকথন চলছিল, তখন ঘরে উপস্থিত ছিলেন বাড়ির পরিচারিকা। তিনিও একটি ফোন বের করে বলেন, ‘‌সাহাব নে তো মুঝে ভি এক ফোন খরিদকে দিয়া।’‌ ব্যাপারটা যে শুধু সাইনির ক্ষেত্রেই অপমানজনক তাই নয়, ওই পরিচারিকার ক্ষেত্রেও অসম্মানসূচক, তা তিনি ধর্ষিতা হন বা না–ই হন।
এখন প্রশ্ন হল, বয়ান বদলের পরেও আদালতের রায় কেন সাইনির বিপক্ষে গিয়েছিল?‌ সাইনির সাড়ে সাত বছরের সাজা হওয়ার পরে মামলাটাকে নিয়ে যাওয়া হয় বোম্বে হাই কোর্টে। সেখানে সাইনির আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে ডিএনএ এবং ফরেন্সিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে সাইনিকে সাজা দেওয়া হয়, তাতে বিস্তর ফাঁকফোকর ছিল। ডেকান ক্রনিকলের ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তাহলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সাইনির লালারসের নমুনা সংগ্রহ যখন করা হয়, লালারস নেওয়ার পরে যে পাত্রে সেটা নেওয়া হয়েছিল, সেটার মুখ বন্ধ করা হয়নি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী এইভাবে নমুনা নেওয়াই যায় না। এতে নমুনা বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাইনির বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজেও ধর্ষণ বা বলপূর্বক ওই পরিচারিকাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। শুধু তাই নয়, পুলিসকে বারংবার ওই পরিচারিকার ফোনের কল রেকর্ড যাচাই করে দেখতে বলার পরেও তা দেখা হয়নি বলে অভিযোগ।
তাহলে?‌ অভিযোগ আগাগোড়া সবটা মিথ্যে?‌ কোনও ধর্ষণই হয়নি?‌ খোদ সাইনি কী বলেছিলেন, সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৯ জুলাই ২০০৯, হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাইনি কবুল করেছিলেন, তাঁর ও ওই পরিচারিকার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তবে সেটা ধর্ষণ বা জোরাজুরির সম্পর্ক নয়। শারীরিক সম্পর্কে পরস্পরের সম্মতি ছিল। মেডিক্যাল রিপোর্টেও শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তাহলে কেন খামোখা সাইনির পরিচারিকা ধর্ষণের অভিযোগ আনতে গেলেন?‌ সাইনির জামিনের আবেদনে এটাও দাবি করা হয়েছিল, ‘‌It is a well-hatched conspiracy to malign my image and extort money from me. The victim’s story of alleged rape is highly suspicious and doubtful as no external injuries were found on her person’‌। অর্থাৎ, আমার ভাবমূর্তি খারাপ করতে এবং আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে সুপরিকল্পিতভাবে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। নির্যাতিতা যে ধর্ষণের গল্প বলছেন, সেটা বিশ্বাস করা কঠিন কারণ, তাঁর শরীরে কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
আগে অভিযুক্ত সাইনি দাবি করেছেন ধর্ষণ হয়নি, পরে অভিযোগকারিণী অর্থাৎ তাঁর পরিচারিকাও কবুল করেছেন ধর্ষণ হয়নি। শুধু যে কবুল করেছেন তাই নয়, কীভাবে কার প্ররোচনায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেটাও স্বীকার করেছেন। পারস্পরিক সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক ছিল না, সেটা আলোচনা এবং প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। বিবাহিত হয়েও পরিচারিকার সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক অবৈধ হতে পারে। আইনি অপরাধ কি?‌ বোধহয় নয়।
এরই মধ্যে বোমা ফাটিয়েছিলেন ফ্লিন রামাডস। মুম্বইয়ের সাংবাদিক জগতের খোঁজখবর রাখেন কিন্তু রামাডসকে চেনেন না, এমন বোধহয় কেউ নেই। লিংকডইন খুলে দেখলাম, এই গতবছর পর্যন্ত রামাডস ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্কের এডিটর ইন চিফ ছিলেন। বর্তমানে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছেন। এই রামাডসের খ্যাতি মূলত ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবেই। ২০০৯ সালে যখন সাইনিকে নিয়ে টিনসেল টাউনে উথালপাথাল চলছে, তখন রামাডস ফিউচারিস্টিক মিডিয়া নেটওয়ার্কে কর্মরত। প্রতিবেদন লেখার জন্য নিজে তদন্ত শুরু করেন রামাডস। সাইনির অভিযোগ ছিল পরিচারিকা তাঁর কাছে টাকা চেয়ে চাপ দিতেন, এই ব্যাপারটায় রহস্যের গন্ধ পেয়েছিলেন রামাডস। খুঁজতে খুঁজতে তিনি পেয়ে যান এই নাটকের চতুর্থ কুশীলবকে। ওই পরিচারিকার প্রেমিককে। মাদক, ছোটখাটো চুরি এবং জুয়ো খেলা— সবরকম বদঅভ্যাসই ছিল ওই পরিচারিকার প্রেমিকের। পোড় খাওয়া দুঁদে ক্রাইম রিপোর্টার রামাডস মনে করেছিলেন দেনায় ডুবে থাকা ওই প্রেমিকই পরিচারিকাকে সাইনির থেকে টাকা চাওয়ার পরামর্শ দেন। রামাডস আরও লিখেছিলেন, অভিযোগীকারিণীর প্রেমিকের যে জুয়া ও মাদকের বদভ্যাস ছিল, সেটাও পুলিসকে জানানো হয়েছিল। কেন তারপরেও পুলিস ওই প্রেমিককে জেরা করেনি, সেটাই আশ্চর্যের।
গ্রেফতারির পরে সাইনিকে আনা হয়েছিল ওয়াসিওয়ারা থানায়। সেই সময় রামাডস সেখানে টানা দু’‌দিন ছিলেন। তিনি লিখেছেন, তদন্তকারী পুলিস অফিসাররা আমাকে জানিয়েছিলেন গ্রেফতারির পরে সাইনি বারবার তাঁকে ফাঁসানোর পিছনে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির হাত থাকার কথা বলছিলেন। তারপরেও কেন ওই পরিচারিকার প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদটুকু করা হল না?‌ প্রতিটা ঘটনার তো দুটো দিক থাকে। যিনি যত বিখ্যাত হন, তাঁকে নিয়ে নেগেটিভ নিউজ ছড়াতে ছড়াতে এমন একটা পর্যায় আসে যে লোকে তখন সত্যি জানার থেকে কেচ্ছার গন্ধ শুঁকতেই বেশি পছন্দ করে। মিডিয়াও সেই সময় সেটাই করতে শুরু করে।
তবে সাইনি এবং ওই পরিচারিকার মধ্যে যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল, সেই ব্যাপারে রামাডসও নিশ্চিত ছিলেন।
সাইনির ঘটনা যখন ঘটে, তখনও আমাদের দেশে পরকীয়া আইনত অপরাধ। তবে সেক্ষেত্রে সাইনির স্ত্রী অনুপমকে (‌অনুপমা নয় নামটা)‌ অভিযোগ দায়ের করতে হতো। অনুপম সেটা করেননি। বরং শুরু থেকে শেষ অবধি সাইনির পাশে দাঁড়িয়ে লড়েছেন। সাইনিকেও সেই অপরাধে জেল খাটতে হয়নি। হয়েছে ধর্ষণের চার্জেই। সেক্ষেত্রে বলা যেতেই পারে সাইনির হাজতবাসটা ‘‌পোয়েটিক জাস্টিস’‌। যদি তাই হয়, তাহলে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ (‌যে অভিযোগ অসত্য বলে নির্যাতিতা নিজেই স্বীকার করে নিলেন)‌ আনার পরেও পরিচারিকার কোনও শাস্তি হয়নি। তাঁকে এই মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য যিনি প্ররোচনা দিলেন, তাঁরও কোনও শাস্তি হয়েছে বলে জানা নেই। প্রেমের সম্পর্কে আজকের দিনে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা খুবই সাধারণ ব্যাপার। তাহলে এই সাধারণ ব্যাপারের কারণে সাইনিকে হাজতবাস করতে হল কেন!‌ এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল মন্দারমণির সি বিচ লাগোয়া হোটেলটির সুইমিং পুলের পাশে হাল্কা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটির মুখ। আধো অন্ধকারে তার মুখের এক্সপ্রেশন বোঝার উপায় ছিল না। ২০০৯ সালে সাইনি আহুজা যখন গ্রেফতার হচ্ছিলেন, তখন কতই বা বয়স হবে ছেলেটির?‌ ১৬ কিংবা ১৭?‌ ওই বয়সে তার জানার কথাও নয়, আইনের ফাঁক গলে যেমন বহু অপরাধী বেরিয়ে যেতে পারে, তেমনই ওই ফাঁকেরই ফাটলে আটকে যেতে পারে অনেকের পা–ও।
এ দেশের আইন বলে, বিচার এমন হবে যাতে আইনের ফাঁক গলে দশটা অপরাধী বেরিয়ে গেলেও যেন একজনও নির্দোষ সাজা না পান।
সেটা হচ্ছে?‌ সবসময় সেটা হয়?‌


Share this post

Leave a Reply